ঢাকা,সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

লামার ইউএনও এর হস্তক্ষেপে ৩শত মা পেলেন মাতৃত্বকালীন ভাতা

ররমোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ

২৭ আগষ্ট শনিবার লামায় জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সমাবেশে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের “কর্মজীবি ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল’ কর্মসূচীর অধিনে ৩শত দুগ্ধদানকারী মা’য়েদেরকে মাতৃত্বকালীন ভাতার চেক দেয়ার কথা ছিল। আইন শৃংখলা সমাবেশ রাত সাড়ে ৭টায় শেষ হওয়ায় ভাতার চেক দেয়া সম্ভব হয়নি। এদিকে সকাল ১০টা থেকে এসে গর্ভের ও কোলের শিশুটিকে নিয়ে প্রচন্ড গরমে দীর্ঘ প্রতিক্ষার কারণে ভোগান্তিতে পড়েন লামা পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ৩শত মা। অপেক্ষারত মায়েরা জানান, তাদের সকাল ১০টায় আসতে বলা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রীর সরকারী সফরসূচী মতে ২৭ আগষ্ট শনিবার বিকাল ৩টায় জনসভা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও লামা উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিকাল ৫টায় জনসভা শুরু হয় এবং রাত ৭টা ৭মিনিটে সমাবেশ শেষ হয়। বাড়ি দূরে হওয়ায় এবং খাওয়ার মত অর্থ না থাকায় অনেক মা দুপুরে না খেয়ে ছিলেন। প্রধান অতিথি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, এমপি সবাইকে সহায়তার অর্থ নিয়ে যেতে বললেও অতিথি যাওয়ার পরে সংশ্লিষ্টরা সুবিধাভোগীদের পরের দিন আসতে বলে। পরের দিন মা’য়েরা টাকার জন্য আসলে জটিলতা হওয়ায় লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদ মাহমুদ নিজে হস্তক্ষেপ করে ব্যাংকের সাথে কথা বলে উপজেলা পরিষদের হলরুমে ভাতার টাকা মা’দের হাতে তুলে দেন।

সহায়তা গ্রহণকারী মা কামরুন নাহার, বিধু বড়–য়া সহ অনেকে বলেন, শনিবার সারাদিন বসিয়ে রেখে আমাদের রাত সাড়ে ৭টায় পরের দিন আসতে বলাটা দুঃখজনক। ছোট ছোট শিশুদের নিয়ে না খেয়ে এত গরমে জনসভায় বসে থাকতে অনেক কষ্ট হয়েছে। নাম প্রকাশ না করা সত্ত্বে অনেকে বলেন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের লোকজন ও তাদের কিছু এজেন্টরা তাদের কাছ থেকে ২শত টাকা করে নিয়েছে।

উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুষ্মিতা খীসা বলেন, যেহেতু বাচ্চা কান্না করছে আর রাত বেশী হয়ে যাওয়ায় মা’দের পরেরদিন চেক নিতে আসতে বলা হয়েছে।

সমাবেশের সভাপতি ও লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেক মাহমুদ বলেন, সমাবেশ চলাকালীন সময়ে সবাইকে চেক দিয়ে দিয়েছে বলে আমাকে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জানান। বিলম্ব হওয়ায় আমরা বিষয়টি নিয়ে আন্তরিক দুঃখিত। আমি নিজেই আজ রবিবার সকলের হাতে চেক তুলে দিয়েছি।

অপরদিকে “কর্মজীবি ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল’ কর্মসূচীর তালিকা তৈরিতে নিয়ম না মেনে আত্মীয়করণ, দলীয় বিবেচনা ও পক্ষপাতিত্য করার অভিযোগ উঠেছে।

পাঠকের মতামত: